❑ লাইলাতুল ক্বদর:

❑ লাইলাতুল ক্বদর:

লাইলাতুল ক্বদর কোন দিনে, এটা আল্লাহ আমাদেরকে নিশ্চিতভাবে জানান নেই। তবে বিভিন্ন হাদীস সমূহ একত্রিত করে এতোটুকু বলা যায়ঃ লাইলাতুল ক্বদর রমযান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোন এক বেজোড় রাত্রিতে রয়েছে। অর্থাৎ, রমযানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯ তারিখ রাতে। এর মাঝে কোন কোন আলেম মনে করেন, এটা ২৭ তারিখের রাতে রয়েছে। কিন্তু এটার উপরে নির্ভর করা উচিত নয়। ২৭ তারিখে লাইলাতুল ক্বদর আশা করে সেইদিন ইবাদতের ব্যপারে বেশি জোর দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, রাসুলু্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপদেশ অনুযায়ী রমযানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯ তারিখে – এই সবগুলো রাতেই লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করতে হবে।

❑ লাইলাতুল ক্বদরের রাতটি চেনার কিছু আলামত হাদীসে পাওয়া যায়। তা নিন্মরুপঃ

(১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

(৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

(৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।

[সহীহ ইবনু খুযাইমাহঃ ২১৯০, সহীহ বুখারীঃ ২০২১, সহীহ মুসলিমঃ ৭৬২]

❑ লাইলাতুল ক্বদরে যেই আমলগুলো করা যেতে পারেঃ

(১) নামাযঃ দুই রাকাত, দুই রাকাত করে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদের নামায পড়বেন। এই নামাযে সুরা ক্বদর বা সুরা ইখলাস এতোবার পড়তে হবে, এমন কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। অন্য যেকোনো নফল নামাযের মতোই দুই রাকাত নফল নামায পড়বেন। চেষ্টা করবেন দীর্ঘ কিরাতে নামায লম্বা করার জন্য। বড় সুরা না পারলে এক রাকাতে ছোট সুরা ২-৩টা পড়ে বড় করা যাবে।

নিচের আমলগুলো ঋতুবতী নারীসহ সকলেই করতে পারবেনঃ

(২) কুরআন তেলাওয়াত। আরবী কুরআন স্পর্শ না করে ঋতুবতী নারীরা মুখস্থ অথবা বাংলা অর্থ দেওয়া আছে এমন কুরআন থেকে, মোবাইল থেকে বা হাতে রুমাল বা কাপড় দিয়ে স্পর্শ করে কুরআন পড়তে পড়তে পারবে, আলেমদের এই মতটাই সঠিক। তবে সন্দেহের কারণে কেউ কুরআন তেলাওয়াত করতে না করতে চাইলে, অথবা যেই সমস্ত আলেম ঋতুবতী নারীদের কুরআন তেলাওয়াত হারাম মনে করেন, এটার সাথে একমত হলে, কুরআনের তাফসীর, হাদীস, দ্বীনি অন্যান্য বই-পুস্তক পড়তে পারেন।

(৩) তওবাহঃ সারা জীবনের সমস্ত গুনাহর জন্য কান্নাকাটি করে তওবাহ করা ও মাফ চাওয়া। বাংলা বা আরবী যেকোনো ভাষায়, অতীতের ভুলের জন্য লজ্জিত হয়ে আন্তরিকভাবে ভবিষ্যতে আর না করার সংকল্প নিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আরবীতে করতে চাইলে – আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি – হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি, এতোটুকু পড়ে বা কুরআন-হাদীসের অন্য দুয়া দিয়ে তওবাহ করা যাবে।

(৪) দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যানের জন্য দুয়া করা। নিজের জন্য, মাতা পিতা বা ভাই বোন, স্ত্রী-সন্তান, মযলুম, জীবিত ও মৃত সমস্ত মুসলমানদের জন্য দুয়া করতে হবে।

(৫) জান্নাতুল ফিরদাউস পাওয়ার জন্য দুয়া করতে হবে।

(৬) যিকির-আযকারঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ১০০বার, ৩৩ বার সুবাহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহাদাহু লা শারীকালাহু…… ১০ বার বা ১০০ বার করে সহ, লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। আরো দুয়া পড়ার জন্য হিসনুল মুসলিম দেখুন। মুখস্থ না পারলে বই খুলে পড়তে পারবেন। আরবী দুয়াগুলো না পারলে বাংলাতেই পড়ুন।

(৭) দুরুদঃ দুরুদের ইব্রাহীম বা নামাযে যেই দুরুদ পড়া হয় সেটা পড়াই সবচাইতে বেশি সওয়াব। আর দুরুদের হাজারী, লাখী, জামিল, মাহী, দুরুদে আকবর এইরকম যত্তগুলো দুরুদ দেওয়া আছে ওযীফার বেদাতী কিতাবে – এইসবগুলো দুরুদ হচ্ছে বানোয়াট বেদাতী দুরুদ, এর ফযীলত যা দেওয়া আছে সমস্তটাই হচ্ছে ধোঁকা। এইগুলো পড়া বেদাত।

(৮) সাধ্যমতো কিছু দান-সাদাকাহ করতে পারেন। দান ছোট হোক, কোনটাই কম নয়, এমনকি হাদীস শুকনো একটা খেজুর দান করে হলেও জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্যে চেষ্টা করতে বলা হয়েছে।

(৯) জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্যে ফকীর মিসকীনকে খাদ্য দেওয়া অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটা ইবাদত, সুতরাং শবে কদরের রাতে সম্ভব হলে গরীবকে খাবার দিতে পারেন।

(১০) রাতের বেলা সুরা ইখলার তেলাওয়াত করা সুন্নত। সুতরাং শবে কদরের রাত্রিগুলোতে সুরা ইখলাস পড়তে পারেন। সুরা ইখলাস তিন বার পড়লে একবার কুরান খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। সুরা ইখলাস দশ বার পড়লে আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতে একটা প্রাসাদ নির্মান করবেন (মুসনাদে আহমাদ)

(১১) প্রতিদিন রাতের বেলা সুরা মুলক ও সুরা সিজদাহ পড়া সুন্নত। সুতরাং আপনারা কুরান তেলাওয়াতের সময় এই দুইটি সুরা পড়ে নেবেন।

(১২) এছাড়া ওয়াক্ত মতো নামাযগুলো সুন্দরভাবে আদায় করবেন, সুন্নত নামায সহকারে। ফরয নামাযের পরে যিকিরগুলো করবেন, নামায দীর্ঘ ও সুন্দর করতে চাইলে রুকু সিজদাহর তাসবীহ বেশি করে পড়বেন, নামাযে বিভিন্ন সময়ে যেই দুয়া আছে সেইগুলো পড়বেন। নামাযে বেশি বেশি দুয়া করবেন।

(১৩) ঘুমানোর পূর্বের যিকির-আযকারগুলো করবেন। আযানের জবাব ও দুয়া পড়বেন।

(১৪) তাহিয়াতুল ওযুর নামায পড়তে পারেন। তওবাহর নামায পড়তে পারেন।

(১৫) আরো যত সুন্নতী যিকির আযকার আছে করতে পারেন।

ব্যঞ্জন বর্ণের ছড়া

কুয়াশার চাদরে

গাছপালা ঢাকা,

দূরের গ্রামগুলো

যায় না তো দেখা।

এঁকে বেঁকে বয়ে চলে জল পথ

মাঝিরা নীরব আছে

নাওয়ে ভরা তট

পথ হারায় পথিকেরা

কুয়াশার বাঁধে

মাঝিরা আটকা পড়ে

কুয়াশার ফাঁদে।

কালো কুকিলে কয়

গাছের মগ ঢালে বয়

শুনে গাঁয়ের বন্ধু

কোকিলে ডাকে শুধু

কু-উ, কু-উ কু-উ।

খোলা খাবার খাবে যদি

দেখে শুনে খাবে

পথের ধারে খাবার দোকান

ঢাকা থাকে তবে।

খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নাও

এমনিভাবে রোজ বুঝ্

পেটের পীড়া হবে না তো

সুস্থ থাকবে রোজ।

গোয়াল ভরা গরু ছিলো

গাঁ-গ্রামের মাঝে

মা-চাচারা করতো আলাপ

উঠানে সন্ধ্যাকালে।

ঘোড়ায় চড়ে যাবো আমি

সবার ঘরে ঘরে

কেউ নি আছে খোঁজ নিতে

অবহেলায় মরে।

ব্যাঙ বেঁধেছে ব্যাঙের বাসা

ব্যাঙের ছাতা কয়,

ক, খ, গ, ঘ, ঙ

এমনি শেখা হয়।

চল্ চল্

সরল পথে চল্

সরল পথে চলতে গিয়ে

সকল বাধা পেরিয়ে চল্।

চল্ চল্।

ছাগল ছানা, ছাগল ছানা

ছোটন খোকা ধরতে মানা,

ছাগল ছানা ধরতে গেলে ‘মা’ ছাগলটি করে হানা।

জলের উপর জল নাচে

জল উড়ে যায়

জলের গায়ে জল লেগে

বিজলীতে আলো ছড়ায়।

ঝুমুর ঝুমুর নুপুর পরে

আলতা রাঙা পায়,

ঝন্র ঝন্র কাঁকন হাতে_

বেদে কন্যা যায়।

মিঞো মিঞো বিড়াল ডাকে

মিঞা বাড়ি যায়,

মিঞা বাড়ির ইঁদুরের দল

ভয়ে-তে পালায়।

টগর ফুল টগর ফুল

টগর ফুল কোটলরে

টগর ফুলের গন্ধ পেয়ে

প্রজাপতি ছোট লরে।

টিয়া পাখির ঠোটটি লাল

বসে গাছের মগ ঢাল

খুকু মণি রাগ করছে

ভাত খায়নি গতকাল।

ঠেলা দিয়ে বোঝা টানে

কুলি মুটে মুজুর

টপটপিয়ে ঘাস ঝরছে

দেখ তপ্ত দুপুর।

অধিক খাটায় দেখ তাদের

হাড়গুলো যায় গোনা

আরামে কেউ জীবন কাটায়

তাদের জীবন ফানা।

ডাকে পাখি ভোর বেলা

ঘুমাইও না আর

জেগে উঠো আলসে ঝেড়ে

কাজ করো যার যার

ঢোলের তালে তালে

নেচে গায় গান

মোহনীয় বাশির সুরে

ভরে যায় প্রাণ।

নদীর কূলে বাস করে যে

ভরসা নাই তার

গভীর বনে বাস করে

হয় বাঘের আহার।

পদ্ম মূল জলের তলে

পাচায় লাগে ঢেউ

ফুলের বোটায় কাঁটা আছে

ভুলিও না কেউ।

তা-তা, থই থই, না না

দুধ ছাড়া দই হয় না

ঘরে রাখা পাতা দই

অসময়ে খুলো না।

থাকতে সময় ঘরে ফিরো

দুষ্ট ছেলের দল

কম আলোতে খেলতে গিয়ে

হারিয়ে যাবে বল।

দল বেঁধে চলে দেখ

পিপিলিকার দল,

ঝগড়া করবে না

একতাই বল।

ধমকানীতে শাসন হয় না

শোধরে দিতে হয়।

অধিক শাসন করতে গেলে

আছে অনেক ভয়।

বলতে হবে বারে বারে

মায়া মমতা নিয়ে

ধারণ করবে অনায়াসে

শিখবে মন দিয়ে।

নামের মানুষ অনেক আছে

গুণের মানুষ নাই

কথায় পাঁকা অনেক আছে

সত্য বলার চাই।

অধিক কথার মিথ্যা শুনার

অনেক আছে ভাই।

মিষ্টিভাষি অল্প শুনার মানুষ কোথায় পাই।

ফুলে ফুলে অলি উড়ে

মৌ ভ্রমরের মেলা

মানুষ সবাই তাই ভাবিয়া

যাবে না নিয়ম ভুলা।

বাতাস বহে গরম কালে

গা জুড়ি নেই,

শীতের কালে বহে বাতাস

গরম পোশাক নেই।

আমার আছে আমি পড়ি

গরিব দুঃখির নেই,

অধিক পোশাক থাকলে তবে

পথ শিশুদের দেই।

ভয় কেন তারে

সে-তো ভয়ের পাত্র নয়,

পথ ভোলারে পথ দেখাতে

ভরের কথা কয়।

ভোরের আলো উঠলো ফোটে

পাখিরা গান গায়

আজান দিতে মুয়াজ্জিনে

মসজিদে যায়।

শিশুরা সব আগে উঠে

মক্তবে যায়,

মা-বোনেরা কলসি কাঁধে

জলকে চলে যায়।

বাপ-ভাইয়েরা নানা কাজে

উঠেই পরে লাগে

মাঠ ফসলের বুননের কাজ

করবে কে কার আগে।

মধু নিতে মৌমাছি

ঘুরে ফুলে ফুলে

ফুল ফুরালে মৌমাছি

অন্য ফুলে চলে।

যখন তখন বায়না ধরে

মায়ের কাছে যায়,

যা চায় তা না পেয়ে

অাঁচলে মুখ লুকায়।

যায় বেলা যায়

খোকন এবার আয়

ওপারে যাবো মোরা

খেয়া খাটের নাম।

রাতের আকাশে চাঁদের আলো

মেঘেরা আছে ঘুমে

জোনাকির দল উড়ছে যেন

আচ্ছা ভূমি চুমো।

রাগ করোনো খোকন সোনা

বাজারে যাবো কাল

বল, বেট, গ্লাপস দেবো

ফুলিও না গাল।

লোকে লোকে ভরে যায়

গাঁয়ে বসলে হাঁট,

বাবার সাথে বেচতে যাবো

নৌকা বোঝাই পাট।

বলছে বাবা কিনে দেবে

আমায় নূতন শার্ট

দাদা-দাদুর জন্যে কিনবো

নয়া কাঠের খাট।

তারা আমায় যতন করে

রাখতো কোলে তুলে।

অনেকের দাদা-দাদু আছে

অবহেলায় যায় মরে।

শীতের পোশাক কিনে দেবো,

পরতে তারা হাতে,

অনেক দোয়া করতে তারা

খুশি হবে তাতে।

অসুখ হলে খোঁজ নেবো

পথ্য দেবো কিনে,

কেউ না কেউ থাকবো পাশে

রাতে কিংবা দিনে।

মা-বাবা পেয়েছি আমরা

তাদের পরম দানে

ওদের সেবা না করলে

শোধব ঋণ কিসে ঋণে।

আমরা ওরা সবার ওরা

রাখলে তাদের খোঁজ

প্রভুর আশিস পাবো মোরা

মনে রেখো রোজ।

টুপুর টাপুর বৃষ্টি পড়ে

স্কুলে যাই তবু

বর্ষাকালে ছাতা নিতে

ভুলবো না-তো কভু।

আষাঢ় এলে অঝোর ধারায়

বৃষ্টি নামে যেই,

চাল, কলাই, মুগ ভাজতে

মাকে বলে দেই।

কুড় কুড়িয়ে মুড় মুড়িয়ে

সব মিলিয়ে খাই।

চালে পড়া বৃষ্টির আওয়াজ

শুনতে নাহি পাই।

এতো গেলা গাঁয়ের কথা

গাঁয়ে থাকি ভাই

বলতে পার এমন আষাঢ়

আর কোথায় পাই?

সুন্দর সকাল

আলো ঝলমল,

সবুজ ঘাসে

জল টলমল।

সুখের আসন

করিয়া বিকল

বিন্দু জলের

জীবন বিফল।

মুক্তোর হাসি

হেসে যারা

আনন্দের মাতিয়ে

রাখে তারা

নিভু আলোতে

বিকেল বেলা,

আবার আসে

খেলতে খেলা।

হয় যদি পথ চলা

চলে আর লাভ কি?

আশপাশে আছে দেখে

বল তার নাম কি?

চালক ছাড়া চলে

বল কিছু আছে কী?

তবুও চালক আছে

তাঁর কথা জান কী?

ভাবিয়া পাইলে সব

তবে কেন কলরব?

তাঁহারি হাতে সব

চিনকি তোমার রব?

হলুদ সাজে হলদে পাখি

হলুদ রঙে সূর্যমুখি।

হাত রার্ভাতে মেহদী মাখি

তাই তো মনি হাসি মুখি।

ড শূন্য নাম পড়ি

সে তো অনেক কারবারি

শূন্য ছড়া যখন পড়ি

নতুন নামের ছড়া ছড়ি।

ঢ শূন্য নাম তার

প্রজা ছাড়া রাজ্য কার

শূন্যটারে না দিলে

প-িত মশাই করে চিৎকার।

ময়না টিয়া কোয়েল শ্যামা

কত শত পাখি আছে

কাকাতুয়া পায়রা ঘুঘু

যে যার মতো নাচে।

বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত “উক্তি” — ০৩

উক্তি সিরিজের আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ ইংরেজি উক্তি দিয়ে সাজিয়েছি। এ উক্তিগুলো এমন কিছু ব্যক্তির যারা স্মরণীয় ও বরণীয়। আর তাঁদের কথাগুলোও অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। সবদিক বিবেচনা করে আমি বলতে পারি আজকের উক্তিগুলো পারফেক্ট হয়েছে। পড়ে দেখার অনুরোধ করা হল।

 The tree of Liberty must be refreshed from time to time with the Blood of patriots and tyrants! It is a natural nature! 
—Thomas Jefferson

“ Fortune favors the bold. 
—Virgil, Aeneid X. 284

 All children are artists. The problem is how to remain an artist once you grow up. 
—Pablo Picasso.

 Make things as simple as possible but no simpler. 
— Albert Einstein.

 Life is a tale told by an Idiot. 
—William Shakespear.

“ Vengeance has no foresight. 
—Napoleon Bonaparte.

 Few men are born brave; many become so through training and force of discipline. 
—Vegetius.

 Know more than others, do more than others, expect less than others. 
—William Shakespear.

 The weak can not contend with the strong. 
—Mencius.

 All warfare is based on deception. ”
—Sun Tzu.

“ A dwarf standing on the shoulder of a giant can see further than the giant himself. 

 Anything that may go wrong will go wrong. 

“ He who fears being conquered is sure of defeat. 
—Napoleon Bonaparte.

“ Life like a dome of many coloured glasses stains the white radiance of eternity until death tremples it to fragments. 
—Shelley.

“ I owe my life to my father but to Aristotle for the knowledge how to live worthily. 
—Alexander the Great.

 Marriage ought to be simply a volunteery relationship between a man and woman capable of being terminated at the wish of the either party. 
—Shelley.

 There is mental treasure everywhere but only eager minds may harvest it. ”

 It is easier for a camel to pass through the eye of an eedle than for a rich man to enter into the kingdom of heaven. ”
—Bible.

 Where there is a will, there is a way. 
—English proverb.

♥♥… Sacrifice everything for a
friend but never sacrifice a friend for
anything …♥♥

 The wearer best knows where the shoe pinches. 
—English proverb.

 Impossible is a word which is only found in the dictionary of fools. 
—Napoleon Bonaparte.

 Building castle in the air is more dangerous than building home in the sand. 
—English proverb.

 Love all, trust a few, do wrong to none. 
—William Shakespear.

 Many a little makes a mickle. 
—English proverb.

 Imagination is more important than knowledge. ”
—Albert Einstein.

 Never trouble trouble till trouble troubles you. 
—American proverb.

 I failed in some subjects in exam, but my friend passed in all.
Now he is an engineer in Microsoft and I am the owner of Microsoft. 
—Bill Gates.

 The only good is knowledge and the only evil is ignorance. 
—Socrates.

 Have courage touse your own reasoning. 
—Immanuel Kant.

 If you are born poor, it is not your fault. But if you die poor, it is your greatest mistake. 
—Bill Gates.

 Only when its dark enough, you can see the stars. 

 I have not failed.
I’ve just found 10,000 ways that won’t work. 
—Thomas Alva Edison.

“ All I know is that I know nothing. ”
—Socrates.

 Anything you can imagine is real. 
—Pablo Picasso.

 I hold that a little rebelion now & then is a good thing and as necessary in the physical. 
—Thomas Jefferson.

টমাস জেফারসন আমেরিকার ৩য় প্রেসিডেন্ট। তাঁর উক্তি আমার কাছে খুবই পছন্দনীয়, অনুকরণীয় এবং অনুপ্রেরণার উৎস। তাই তাঁর উক্তি দিয়েই শুরু করলাম এবং তাঁর উক্তি দিয়েই শেষ করলাম। ধন্যবাদ। 🙂

বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত “উক্তি” — ০২

 ওঠো, এবং ভয় পেয়ো না॥ 
যীশু।

 যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে? 
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

 ভয়? সে কে? তাকে তো কোনোদিন দেখিনি॥ 
লর্ড নেলসন।

 হয়তো দশবার টসে একবার মাত্র আমি জিতেছি, কিন্তু তাতে আমার দুঃখ নেই। আমার মুখ তো তাই বলেছে- যা আমার চোখ দেখেছে॥ 
চে গুয়েভারা।

 গতি যার নীচ সহ নীচ সে দুর্মতি॥ 
—মাইকেল মধুসূদন দত্ত

 রহস্যকে ব্যাখ্যা করবার জন্যই ঈশ্বরের ধারনা এসেছে॥ 
রিচার্ড ফিলিপস ফাইনম্যান।

 বাংলার মাটি দু্র্জয় ঘাঁটি জেনে নিক দুর্বৃত্তেরা॥ ”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

 ক্লান্ত হলে তো অনেক আগেই মারা যেতাম। ক্লান্তি নেই বলেই তো একজন শিল্পী এতদিন বেঁচে থাকে॥ ”
পাবলো পিকাসো।

 যদি আমি তোমাকে ভালোবাসি, ঈশ্বর।
তুমি কেবল তোমার কিছু সৃষ্টিকে ভালোবাসতে পারোনা॥ ”
মুহাম্মদ আলি।

 পুরুষের দশ দশা।
কখনও হাতি কখনও মশা॥ 
মীর মশারফ হোসেন।

 নিজেকে আর নিজের শত্রুকে চেনা থাকলে কোনো হার ছড়াই একশ যুদ্ধ জেতা যায়॥ 
সান যু।

 নিন্দিত করুন। কোন ব্যাপার না। ইতিহাস আমাকে মুক্তি দেবে॥ 
ফিদেল আলেহান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ।

 রক্ত কখনও ঘুমায় না। প্রতিশোধ নেবার জন্য জেগে থাকে॥ 
সালাদিন।

 আমাদের কেবল ভয়কে ভয় পাওয়া উচিৎ॥ 
ফ্রাংক্‌লিন ডেলানো রুজ্‌ভেল্ট।

 আমরা হয় এক রাস্তা খুঁজে নেব, নয় বানিয়ে নেব॥ 
হ্যানিবল।

 অসম্ভব শব্দটি মুর্খের অভিধানেই পাওয়া যায়॥ 
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট।

 জ্ঞান নয় কল্পনাই বুদ্ধির প্রকৃত পরিচয়॥ 
—আলবার্ট আইনস্টাইন।

 আমি ভেড়ার নেতৃত্বে সিংহ বাহিনীকে ভয় পাই না,
কিন্তু সিংহের অধীনে ভেড়ার পালকে ভয় পাই॥ 
—আলেকজান্ডার।

 আমি শুয়োর পছন্দ করি। কুকুর আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকায়। বিড়াল চোখ নামিয়ে তাকায়। শুকর আমাদেরকে সমভাবে দেখে॥ 
—উইনস্টন চার্চিল।

 স্বপ্ন তা নয় যা ঘুমের মধ্যে আসে,
স্বপ্ন সেটাই যা ঘুমকে দুর করে॥ 
—আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালাম।

 বামন চিনি পৈতা দেখে
বামনী চিনি কেমনে রে? 
—লালন ফকির।

 মানুষ স্বভাবতই একটি ‘রাজনৈতিক প্রাণী॥ 
—অ্যারিস্টটল।

 এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে॥ 
সুকান্ত ভট্টাচার্য্য।

 কোন গাড়িকে তার চালক দেখে বিচার করা উচিৎ নয়॥ 
জাকির নায়েক।

 আমি বেশি দুরে দেখে থাকলে তা দৈত্যদের ঘাড়ে চড়েই॥ 
—আইজ্যাক নিউটন

বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত “উক্তি” — ০১

পৃথিবীর বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত উক্তি যা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করলে হয়তো আমাদের জীবন অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।

“ মাত্র দুটি পন্থায় সফল হওয়া যায়! একটি হচ্ছে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ঠিক যা তুমি করতে চাও। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া॥ 
—মারিও কুওমো।

“ অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন॥ 
—ডেল কার্নেগি।

“ হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট।
কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়॥ 
—পীথাগোরাস।

“ ঝগড়া চরমে পৌঁছার আগেই ক্ষান্ত হও॥ ”
—হযরত সোলায়মান (আঃ)।

“ তুমি যদি কোনো লোককে জানতে চাও, তা হলে তাকে প্রথমে ভালবাসতে শেখো॥ 
—লেলিন।

“ একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না॥ 
—জর্জ লিললো।

“ দুর্ভাগ্যবান তারাই যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই॥ 
—অ্যারিস্টটল।

“ বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে॥ 
—মিল্টন।

“ আল্লাহর ভয় মানুষকে সকল ভয় হতে মুক্তি দেয়॥ 
—ইবনে সিনা।

“ স্বপ্নপূরণই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাই বলে, স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়, তাকে সঙ্গে নিয়ে চলো। স্বপ্ন ছাড়া জীবন অর্থহীন॥ ”
—ব্রায়ান ডাইসন।

“ এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে॥ 
—আইনস্টাইন।

“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”
—জন লিভেগেট।

“ যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্যও নেই॥ 
—উইলিয়াম ল্যাংলয়েড।

“ সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য ৰলে মনে হয়॥ ”
—হুমায়ূন আজাদ।

“ যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না॥ ”
—জন এন্ডারসন।

“ চিন্তা কর বেশি, বল অল্প এবং লেখ তার চেয়েও কম॥ 
—জন রে।

“ সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চেনা এবং সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যদেরকে উপদেশ দেয়া॥ ”
—থেলিস।

“ যে নিজেকে দমন করতে পারে না সে নিজের জন্যেও বিপদজনক এবং অন্য সবার জন্যেও॥ ”
—থেলিস।

“ সফলতা সুখের চাবিকাঠি নয় বরং সুখ হল সফলতার চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মনে প্রানে ভালবাসতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনি নিজের কাজ নিয়ে সুখী হন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন॥ ”
—Albert Schweitzer.

“ আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো যে আমি হারার ১০০০ টি কারণ বের করেছি॥ 
—টমাস আলভা এডিসন।

“ যে বিজ্ঞানকে অল্প জানবে সে নাস্তিক হবে, আর যে ভালো ভাবে বিজ্ঞানকে জানবে সে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে॥ 
—ফ্রান্সিস বেকন।

“ সত্যকে ভালবাস কিন্তু ভুলকে ক্ষমা কর॥ 
—ভলতেয়ার।

“ আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেইস্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়, সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়॥ 
—মার্ক জুকারবার্গ।

“ যে পরিশ্রমী সে অন্যের সহানুভূতির প্রত্যাশী নয়॥ 
—এডমণ্ড বার্ক।

“ পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস; কিন্তু আপনি যদি ১ টি মাছকে তার গাছ বেয়ে উঠার সামর্থ্যের উপর বিচার করেন তাহলে সে সারা জীবন নিজেকে শুধু অপদার্থই ভেবে যাবে॥ 
—আইনস্টাইন।

“ আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা॥ 
—মাইকেল জর্ডান।

“ প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক; কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক॥ ”
—আব্রাহাম লিংকন।

‘‘ যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি॥ ’’
—আইনস্টাইন।

“ যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়॥ 
—জন সার্কল।

“ আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুন্ঠিত হই॥ 
—প্রমথ চৌধুরী।

“ তোমার বন্ধু হচ্ছে সে, যে তোমার সব খারাপ দিক জানে; তবুও তোমাকে পছন্দ করে॥ ”
—অ্যালবার্ট হুবার্ড।

“ স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা থাকে; তাই হলো শিক্ষা॥ ”
—অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।

“ আমি আপনাকে কখনও ভালবাসতে না বলে যুদ্ধ করতে বলি। কারণ যুদ্ধে হয় আপনি বাঁচবেন না হয় মরবেন। কিন্তু ভালবাসাতে না পারবেন বাঁচতে; না মরতে॥ 
—এডলফ হিটলার।

“ যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়॥ ”
—ডঃ লুৎফর রহমান।

“ বাঙালি সমালোচনা সহ্য করে না; নিজেকে কখনো সংশোধন করেনা। নিজের দোষত্রুটি সংশোধন না করে সেগুলোকে বাড়ানোকেই বাঙালি মনে করে সমালোচনার যথাযথ উত্তর॥ 
—হুমায়ুন আজাদ।

“ কাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারন শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতার কয়েকটা পাতাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে পারেনা॥ 
—টমাস আলভা এডিসন।

“ সবাই অনেকদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু কেউই বুড়ো হতে চায় না॥ 
—জোনাথন সুইফট।

“ ছেলেদের মদ্ধে বন্ধুত্ব নষ্টের অন্যতম দুইটি কারণ- টাকা এবং মেয়ে। সব সময় এই দুইটি জিনিস বন্ধুত্ব থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করুন॥ 

“ পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি নরনারী এখন মনে করে তাদের জীবন ব্যর্থ, কেননা তারা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারেনি॥ 
—হুমায়ুন আজাদ।

“ তুমি যখন প্রেমে পড়বে তখন আর তোমার ঘুমাতে ইচ্ছে করবেনা; কারণ তখন তোমার বাস্তব জীবন স্বপ্নের চেয়ে আনন্দময় হবে॥ 
—Dr. Seuss.

“ একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা॥ 
—বিল গেটস।

“ টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভাল॥ 
—সক্রেটিস।

“ জন্মদিনের উৎসব পালন করাটা বোকামি। জীবন থেকে একটা বছর ঝরে গেল, সে জন্যে অনুতাপ করাই উচিত॥ ”
—নরম্যান বি.হল।

“ সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে॥ 
—আল হাদিস।

“ আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ॥ ”
—বিল গেটস।

“ সুন্দর একটা মানুষ না খুঁজে, সুন্দর একটা মন খুঁজো, তাহলে ভালবাসার সফলতা আসবে॥ 

“ যে তোমাকে কষ্ট দেয় তাকে তুমি ভালবাসো। আর যে তোমাকে ভালবাসে তাকে তুমি কষ্ট দিওনা। কারণ পৃথিবীর কাছে হয়তো তুমি কিছুই নও, কিন্তু কারো কাছে হয়তোবা তুমিই তার পৃথিবী॥ ”

“ যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে সেই বিষয়ে শিক্ষিত, কাজেই সবাই শিক্ষিত॥ ”
—নেপোলিয়ান।

“ যে দৃষ্টির সঙ্গে মনের যোগাযোগ নেই সে তো দেখা নয়, তাকানো॥ ”
—যাযাবর।

“ সেই যথার্থ মানুষ যে জীবনের পরিবর্তন দেখেছে এবং পরিবর্তনের সাথে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে॥ 
—বায়রন।

“ অন্যকে বারবার ক্ষমা কর কিন্তু নিজেকে কখনোই ক্ষমা করিও না॥ ”
—সাইরাস।

“ কান্নায় অনন্ত সুখ আছে তাইতো কাঁদতে এত ভালোবাসি॥ ”
—স্বামী বিবেকানান্দ।

“ জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র বস্তু জগতে আর কিছুই নেই॥ 
—পবিত্র গীতা।

“ যৌবন যার সৎ, সুন্দর ও কর্মময় তার বৃদ্ধ বয়সকে স্বর্ণযুগ বলা হয়॥ ”
—জর্জ গ্রসভিল।

“ আমি চলে গেলে যদি কেউ না কাঁদে  তবে আমার অস্তিত্বের  কোন মূল্য নেই॥ 
—সুইফট।

“ বন্ধুর সাথে এমন ব্যাবহার কর যেন বিচারকের শরণাপন্ন হতে না হয়॥ 
—প্লেটো।

“ অসৎ ব্যক্তি সৎ ব্যক্তির কাজের মধ্যে কোন মহৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না॥ 
—জন বেকার।

“ সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ॥ 
—হযরত আলী (রাঃ)।

“ আগুন দিয়ে যেমন লোহা চেনা যায় তেমনি মেধা দিয়ে মানুষ চেনা যায়॥ 
—জন এ শেড।

“ সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ কর, তাহলেই প্রতিষ্ঠা পাবে॥ 
—ডব্লিউ এস ল্যান্ডের।

“ একজন অলস মানুষ স্বভাবতই খারাপ মানুষ॥ 
—এস টি কোলরিজ।

“ সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো না হয় মরে যাও॥ 
—মেরিডিথ।

“ সৎ লোক সাতবার বিপদে পড়লে আবার উঠে কিন্তু অসৎ লোক বিপদে পড়লে একবারে নৃপাত হয়॥ 
—হযরত সোলায়মান (আঃ)।

“ যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর তবে অপরকে সেটা বুঝতে দেবে না॥ 
—জন বেকার।

“ যে মন খুলে হাসতে পারে না, সেই পৃথিবীতে সবচেয়ে অসুখী॥ 
—জন লিলি।

“ ভালোবাসার জন্য যার পতন হয় সে বিধাতার কাছে আকাশের তারার মত উজ্জ্বল॥ 
—জনসন।

“ পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়ে ঘরে থাকাও ভালো, অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্টালিকায় থাকার কোন সার্থকতা নেই॥ 
—উলিয়ামস হেডস।

“ প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন॥ 
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

“ সেই সত্যিকারের মানুষ যে অন্যের দোষত্রুটি নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করতে পারে॥ 
—লর্ড হ্যলি ফক্স।

“ সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন॥ 
—মার্ক টোয়েন।

“ পুরুষের লক্ষ্য রাখা উচিত যত দিন বেশী তারা অবিবাহিত জীবনযাত্রা করতে পারে॥ 
—জর্জ বার্নাডস।

“ যে সহজ সরল জীবনযাপন করে সুখ তার জন্য অত্যন্ত সুলভ্য॥ 
—আলেকজান্ডার।

“ বন্ধু হচ্ছে দুটি হৃদয়ের একটি অভিন্ন মন॥ 
—সক্রেটিস।

“ যে সব দৃশ আমরা খুব মন লাগিয়ে দেখতে চাই সে সব দৃশ্য কখনো ভালভাবে দেখতে পারি না সেই সব দৃশ্য অতি দ্রুত চোখের সামনে দিয়ে চলে যায়॥ 
—রবার্ট ফ্রস্ট।

“ ভাগ্য বলে কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও যত্নের উপর তা গড়ে উঠে॥ 
—স্কট।

“ বিদ্ধানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র॥ 
—আল হাদিস।
14080044_1817558218455578_610728494581355087_n

আমাদের গ্রাম

  • আমাদের গ্রাম – বন্দে আলী মিয়া
  • আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর,
  • থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর৷
  • পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই,
  • এক সাথে খেলি আর পাঠশালে যাই৷
  • আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান,
  • আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে বাঁচাইয়াছে প্রাণ৷
  • মাঠ ভরা ধান তার জল ভরা দিঘি,
  • চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি৷
  • আম গাছ, জাম গাছ, বাঁশ ঝাড় যেন,
  • মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন৷
  • সকালে সোনার রবি পুব দিকে ওঠে,
  • পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে৷

ইতিহাসের স্মরণীয় কয়েকটি যুদ্ধ

ইতিহাসের স্মরণীয় কয়েকটি যুদ্ধ

কলিঙ্গের যুদ্ধ (খ্রি. পূ. ২৬১) : এ যুদ্ধে সম্রাট অশোক কলিঙ্গ রাজকে পরাজিত করেন। এ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশোকের মনে ভাবান্তর হয়। এর পরিণামে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।

এ্যাকটিভিয়াসের যুদ্ধ (খ্রি. পূ. ৩১) : এ নৌযুদ্ধে এ্যাকটিভিয়াসের নিকট রাণী ক্লিওপেট্রা ও এন্টনির যৌথ নৌবাহিনীর পরাজয় ঘটে।

ভারত-চীন সীমান্ত যুদ্ধ (১৯৬২ খ্রি.) : চীন ভারতের লাদাখ অঞ্চল আক্রমণ করলে এ যুদ্ধ বাধে। চীন ভারতের কিছু এলাকা দখল করে নেয়। পরে যুদ্ধ বিরতির ফলে চীন তার সৈন্য অপসারণ করে। চীন এখনো ভারতের বহু এলাকা দখল করে আছে।

পাক-ভারত যুদ্ধ (১৯৬৫ খ্রি.) : কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সাথে পাকিস্তানের এ যুদ্ধ বাধে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বিখ্যাত তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১ খ্রি.) : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাক সামরিক জান্তা ঢাকায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করলে এ যুদ্ধ বাধে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিবাহিনী গঠন করে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে ভারতও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

ইরান-ইরাক যুদ্ধ (১৯৮০-১৯৮৮ খ্রি.) : ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধে উভয় দেশের তেল সমৃদ্ধ এলাকা ও তেল শোধনাগার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৮ সালের জুলাই মাসে ইরান শর্তহীনভাবে জাতিসংঘের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং ২০ আগস্ট তা কার্যকর হয়।

ক্যাডেসিন যুদ্ধ (৬২৭ খ্রি.) : এ যুদ্ধে মহাবীর রুস্তমের হাতে আরবরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।

পানিপথের প্রথম যুদ্ধ (১৫২৬ খ্রি.) : এ যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদী বাবরের হাতে পরাজিত ও নিহত হন এবং বাবর ভারতে মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ (১৫৫৬ খ্রি.) : এ যুদ্ধে দিল্লীর সম্রাট আকবরের সেনাপতি বৈরাম খাঁর হাতে হিমু পরাজিত ও নিহত হন।

পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১ খ্রি.) : এ যুদ্ধে মারাঠাগণ আহম্মদ শাহ আবদালীর হাতে পরাজিত হয়।

বান্নোকবার্ন যুদ্ধ (১৩১৪ খ্রি.) : রবার্ট ব্রুসের নেতৃত্বে এই যুদ্ধে স্কটল্যান্ড বাহিনী ইংরেজদেরকে পরাজিত করে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে।

শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধ (১৩৩৮-১৪৩৩ খ্রি.) : ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড ফ্রান্সের সিংহাসন দাবী করলে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে এ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ বাধে। শেষ পর্যন্ত বীর কন্যা জোয়ান অব আর্কের বীরত্বের মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।

আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম (১৭৭৬-১৭৮৩ খ্রি.) : জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রাম চলে এবং আমেরিকা ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

ট্রাফালগার যুদ্ধ (১৮০৫ খ্রি.) : এ যুদ্ধে ইংরেজ নৌ-সেনাপতি নেলসনের কাছে ফরাসি ও স্পেনের মিলিত বাহিনী পরাজয় বরণ করে। কিন্তু নেলসন নিজে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান!

ক্রিমিয়ার যুদ্ধ (১৮৫৪-১৮৫৬ খ্রি.) : এ যুদ্ধে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও তুরস্কের যৌথ বাহিনীর নিকট রাশিয়ার জার পরাজয় বরণ করে।

ওয়াটার লুর যুদ্ধ (১৮১৫ খ্রি.) : এ যুদ্ধ নেপোলিয়ান ইংরেজদের হাতে পরাজিত হয়ে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত হন।

ভিয়েতনাম যুদ্ধ (১৯৫৬-১৯৭৩ খ্রি.) : উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের মধ্যে প্রথম এ যুদ্ধ বাধে। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি দক্ষিণ ভিয়েতনামের পক্ষ সমর্থন করে। অপরদিকে চীন ও রাশিয়া উত্তর ভিয়েতনামকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করতে থাকে। এ যুদ্ধে দক্ষিণ ভিয়েতনাম পরাজিত হয়। বর্তমানে দুই ভিয়েতনাম এক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮ খ্রি.) : অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফার্ডিন্যান্ডের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯১৪ সালে এ বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়। এ যুদ্ধে এক পক্ষে ছিল জার্মানি, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া এবং আরো কতকগুলো মিত্র রাষ্ট্র। এ যুদ্ধে ইংল্যান্ডের মিত্রপক্ষ জয় লাভ করে। ১৯১৮ সালে বিখ্যাত ভার্সাই চুক্তির মধ্য দিয়ে এ বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫ খ্রি.) : ১৯৩৯ সালে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। হিটলারের পক্ষে ছিল জাপান ও ইতালি। অপরপক্ষে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। এ সম্মিলিত মিত্র বাহিনীর কাছে হিটলার পরাজিত হন এবং আত্মহত্যা করেন! এ মহাযুদ্ধেই আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আণবিক বোমা নিক্ষেপ করে!

আরব-ইসরাইল যুদ্ধ : এটি মূলত প্যালেস্টাইনী (ফিলিস্তিন) গেরিলা ও ইসরাইলীদের যুদ্ধ। প্যালেস্টাইনী গেরিলারা নিজেদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনের জন্যই যুদ্ধ করছে। গেরিলাদের সরাসরি সাহায্য করছে আরব রাষ্ট্রসমূহ। প্রথম ১৯৪৮ সালে আরবদের সাথে ইসরাইলের সংঘর্ষ বাধে। ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন ও সাহায্য করছে। প্যালেস্টাইনীদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এখনও অব্যাহত আছে!

ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ : ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট ইরাক কুয়েত দখল করে নেয় এবং কুয়েতকে ইরাকের অঙ্গ বলে ঘোষণা করে। জাতিসংঘ কুয়েত হতে ইরাকী বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য আহবান জানানোর পরও ইরাক তার বাহিনী সরিয়ে নেয় নি। পরে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে গঠিত বহুজাতিক বাহিনী ইরাকের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায় এবং ইরাকী বাহিনীকে কুয়েত হতে হটিয়ে দেয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ইরাক ১৯৯১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে নেয় এবং যুদ্ধের অবসান ঘটায়।

বসনিয়া-হারজেগোভিনিয়ার যুদ্ধ : ১৯৯২ সালের এপ্রিলে বসনিয়া-হারজেগোভিনা যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্র কাঠামো থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর থেকে বসনিয়া-হারজেগোভিনার মুসলমানদের (মোট জনসংখ্যার ৪৪%) সাথে সার্বিয়ার উস্কানিতে অর্থোডক্স খ্রিস্টান সার্বদের (মোট জনসংখ্যার ৩৩%) ও রোমান ক্যাথলিক ক্রোটদের (মোট জনসংখ্যার ১৭%) দ্বিমুখী যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক জনগোষ্ঠী স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়! কিন্তু সার্ব ও ক্রোটরা মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার লক্ষে নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যা চালায়। অবশেষে জাতিসংঘ ও ন্যাটোর তত্ত্বাবধানে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বসনিয়া-হার্জেগোভিনিয়াকে তিনটি অংশে বিভক্ত করে মুসলিম, সার্ব ও ক্রোয়েটদেরকে দিয়ে দেয়া হয়।